শিল্পেও লোডশেডিং ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদনে বিঘ্ন
প্রকাশিত : 10:21 AM, 5 August 2022 Friday

শিল্পকারখানাতেও লোডশেডিং করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ রেশনিং যথাযথভাবে হচ্ছে না। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকলেও এরপর বিভিন্ন সময়ে থাকছে না। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। এ পরিস্থিতিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই ভবনে ‘এনার্জি সিকিউরিটি ডেভেলপমেন্ট অব দ্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ব্যবসায়ী নেতারা একথা বলেন। তারা সরকারকে দীর্ঘমেয়াদে কয়লাভিত্তিক জ্বালানিতে যাওয়ার সুপারিশ করেন। বাপেক্সকে (বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠান) আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান; বলেন, সমুদ্রে যে গ্যাস আছে সেটিও উত্তোলন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
তিনি সরকারের কাছে স্বল্পমূল্যে জ্বালানি চান। জসিম উদ্দিন বলেন, পরিবেশ ধ্বংস না করেও উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কয়লাভিত্তিক জ্বালানি উৎপাদন করা যেতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত কয়লা বিদ্যুৎ থেকে জ্বালানির একটা বিরাট অংশের চাহিদা মেটাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিদেশি কোম্পানিগুলো উৎপাদিত গ্যাসের ৩০ শতাংশ পূরণ করলেও ৭০ শতাংশ গ্যাস পাওয়ার কথা বাপেক্স থেকে। কিন্তু আমরা তার উলটাটা পাচ্ছি। বিদেশি কোম্পানিগুলো দিচ্ছে ৬০ শতাংশের বেশি আর বাপেক্স দিচ্ছে ৩০ শতাংশ। এই পার্থক্য কমিয়ে আনা দরকার এবং লোডশেডিংয়ের ক্ষেত্রে যথাযথ রেশনিং করা দরকার। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, কৃষি ও শিল্পকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই সরকার বিদ্যুৎ রেশনিং করছে। এতে সাময়িক অসুবিধা হলেও দেশের স্বার্থেই তা মেনে নেওয়া প্রয়োজন।
জ্বালানি ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, মানুষের মতো গ্যাসক্ষেত্রেরও একটা আয়ুষ্কাল রয়েছে। সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় বিদ্যুতের পরিমাণ মোট ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে বিদেশি কোম্পানিগুলো বিশাল অঙ্কের একটা মুনাফা নিয়ে যাচ্ছে। এরা বাংলাদেশের পেটে লাথি দিয়ে যাচ্ছে। আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস লোডশেডিং প্রসঙ্গে বলেন, শত সমস্যার মধ্যেও সরকার কারখানা চালু রাখার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। সরকারের পলিসি হলো ডোমেস্টিক (বাসাবাড়িতে) সেক্টরে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে শিল্পে বাড়িয়ে দেওয়া। শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া। শুধু তেল-গ্যাস নয়, বর্তমানে কয়লাও ব্যয়বহুল। বর্তমানে কিছু কিছু কারখানা আবাসিক এলাকায় হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। সেজন্য হয়তো আপনারা সাফার (কষ্ট) করছেন।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক গণঅধিকার'কে জানাতে ই-মেইল করুন- dailyganoadhikar@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
দৈনিক গণঅধিকার'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।